এইচএসসিতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছেন তার থেকে কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার দুপুরে দুই দিনব্যাপী চাঁদপুর সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসিতে যারা পাস করেন তারা অনেকেই পেশাগত যে শিক্ষা সেখানে যোগ দেন। এর মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, কেউ প্রকৌশলে, কেউ স্থাপত্যে, কেউ আইনে ভর্তি হন। অনেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে যান। কেউ কেউ কারিগরি শিক্ষা নেন। এছাড়া সারাদেশে ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ আছে। সেখানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন। সবমিলিয়ে এইচএসসিতে যারা পাস করেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি আসন রয়েছে।’
দীপু মনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা যারা পাস করেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন পেশাগত শিক্ষার দিকে ধাবিত হন। কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, কেউ প্রকৌশলে, কেউ স্থাপত্যে আবার কেউ আইনে এভাবে চলে যান। আবার অনেকে আছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উচ্চ শিক্ষার জন্য। আমাদের সারাদেশে ২২৫৭টি কলেজ রয়েছে। সেখানেও অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান। আবার অনেকে কারিগরি শিক্ষার জন্যও যান। সবমিলিয়ে আমাদের আসন সংখ্যা যে পরিমাণ রয়েছে তা পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি। ফলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হতে কোনো অসুবিধা হবে না।
শিক্ষার মান বাড়ানোর পথে একই অপশক্তি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তারা একই যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মান বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পঞ্চাশের দশকে বলেছিল নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে। নব্বই দশকে বলেছে নৌকায় ভোট দিলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে, মসজিদে উলুধ্বনি হবে। তারা আজ আবার বলছে বই দিয়ে ইসলাম ধ্বংস করা হচ্ছে।’
এর আগে সাহিত্য মেলা উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান। মেলায় চাঁদপুরের প্রায় দেড় শতাধিক সাহিত্যকর্মী উপস্থিত ছিলেন।