নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম চাওড়াডাঙ্গী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।

৮ ফেব্রুয়ারি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কোনো শিক্ষার্থী পাস না করা ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় বালাগ্রাম চাওড়াডাঙ্গী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম পাওয়া গেছে।

প্রতিষ্ঠানটিতে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রেজিস্ট্রেশন করে তিনজন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনজনই অকৃতকার্য হয়েছে। এর কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ এক যুগ বেতন না-হওয়ার কারণে শিক্ষকদের অবহেলায় থমকে গেছে ওই প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখার মান। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো তদারকি নেই।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মন্মথ চন্দ্র রায় বলেন, আমার কলেজের অবস্থা কি জানেন? কলেজটা শুধু পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত আজকে ১২ বছর থেকে। এখনও স্বীকৃতি পায় নাই। আর এখানে ভর্তি হয় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। এখানে নাজেহাল বাচ্চারা ভর্তি হয়ে গার্মেন্টসে কাজ করে। পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দেয় আরকি। গত বছর ৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬ জন পাস করেছিল। এখন তো কলেজের শিক্ষকও নাই। ১২ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ থাকবে?

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মানিক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট ৬৭১টি কলেজের ২০২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ২ হাজার ৯৩ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেন ৭৮ হাজার ৮৪৯ শিক্ষার্থী। এ বছর পাসের হার গতবারের তুলনায় কম। গতবার পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৪৩। অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা ছিল দুটি। এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে। এই ১৩টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাত্র ৬৫ জন।