কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে জঙ্গি সংগঠনের আস্তানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ২২ জানুয়ারি, মধ্যরাত থেকে র্যাব কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ আস্তানায় অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের সঙ্গে জঙ্গিদের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে র্যাব জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশারকে আটক করে।
এ সময় দেশি ও বিদেশি তিনটি অস্ত্র, তিনটি ম্যাগাজিন ও ১১২টি গুলি এবং নগদ আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করে র্যাব। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দাকার আল মঈন এ অভিযানের তথ্য জানিয়েছেন।
খন্দাকার আল মঈন বলেন, র্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপনে রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে রোববার মধ্যরাতে কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের এ ব্লকে অভিযান শুরু করে। অভিযানে র্যাবের অবস্থান বুঝতে পেরে জঙ্গিরা পাশের পাহাড়ে চলে যায়। এ সময় সশস্ত্র জঙ্গিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে র্যাব মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও তাঁর সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশারকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীরের নেতৃত্বে তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িত করতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এ কারণে পার্বত্য এলাকায়ও অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ পর্যন্ত এ সংগঠনটির ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কীভাবে তারা আস্তানা গেড়েছে-তা গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।