ভোক্তা পর্যায়ে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমেছে। মার্চে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে ১ হাজার ৪২২ টাকা খরচ হবে। গত মাসের তুলনায় এই দাম ৭৬ টাকা কম। ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দর ঘোষণা করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এই দর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্চে সৌদি আরামকো ঘোষিত প্রতিটন প্রোপেন ৭২০ ডলার ও বিউটেন ৭২০ ডলার হিসাবে ৩৫:৬৫ অনুপাতে মিশ্রণের মূল্য দাঁড়ায় ৭৩৩ ডলার। তাতে প্রতিকেজি এলপিজির খুচরা মূল্য দাঁড়ায় ১১৮ টাকা ৫৪ পয়সা।
নতুন দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডার ৬৫২ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ৪৮২ টাকা, ১৫ কেজির সিলিন্ডার এক ৭৭৮ টাকা, ১৬ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ৮৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৮ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ১৩৪ টাকা, ২০ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ৩৭১ টাকা, ২২ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ৬০৮ টাকা বিক্রি হবে।
পাশাপাশি ২৫ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ৯৬৪ টাকা, ৩০ কেজির সিলিন্ডার তিন হাজার ৫৫৭ টাকা, ৩৩ কেজির সিলিন্ডার তিন হাজার ৯১২ টাকা, ৩৫ কেজির সিলিন্ডার চার হাজার ১৫০ টাকা এবং ৪৫ কেজির সিলিন্ডার পাঁচ হাজার ৩৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মার্চে রেটিকুলেটেড এলপিজির দাম হবে প্রতিকেজি ১১৫ টাকা ৩১ পয়সা। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৬৬ টাকা ২২ পয়সা।
তবে সরকার এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দিলেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এ দাম কোম্পানিগুলো মানে না বলে ভোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।