নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: শাকিল প্রধান
বিএনপি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমাদের পাঠ্যসূচী শহীদ জিয়ার কার্যক্রম, আমাদের শিক্ষক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
বিএনপি,যুবদল,কৃষকদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নাসিকের অন্তর্গত বন্দরের ২১ ও ২২নং ওয়ার্ডে মিছিল, গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরদেশ।
এ সময় তিনি নিজেই বাংলাদেশ ও বিএনপির নামে শ্লোগান ধরে নেতাকর্মীদের মিছিলে উজ্জীবিত করেন।
বন্দর খেয়াঘাট এলাকা থেকে মিছিল বের করে রূপালী আবাসিক এলাকা হয়ে শাহ মসজিদ এলাকা ঘুরে আবারো বন্দর খেয়াঘাটে এসে মিছিল ও গণসংযোগ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ সদর আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী খোরশেদ বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শহীদ জিয়ার কর্ম জীবন আমাদের সিলেবাস আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের শিক্ষক। এখানে শতশত ছাত্র। শিক্ষকের মূল্যায়নে যারা উপযুক্ত বিবেচিত হবে তারাই জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে সব নির্বাচনে দলীয় প্রতিনিধিত্ব করবে।
এখানে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বা কোন্দলের কোন সুযোগ নাই। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে নিজেদের লাভের জন্য দলকে যেন দুর্বল বা বিভক্ত না করে ফেলি। আমরা কোন ভাইয়ের লোক হতে চাই না। অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের লোক হয়ে রেশারেশি, কাদা ছুড়াছুড়ি করে মুখ দেখা দেখি বন্ধ করলে অমুক ভাই বা তমুক ভাইয়ের কোন ক্ষতি হবেনা। ক্ষতি হবে দলের, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের। আমরা সবাই বিএনপির লোক হতে চাই, শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের লোক হতে চাই। একজন কর্মীর তার দলে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন হলো দলের মনোনয়ন। আমাদের বড় দল অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী হতেই পারেন। শেষ পর্যন্ত দল যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। সর্বোপরি দল এবং ধানের শীষের জন্য কাজ করবো।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে আপনার আপনাদের দেখে আমার ভাল লাগছে।
আপনারা যাদের গত ১৬ বছরে আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছেন, মামলা হামলার শিকার হয়েছে, ৫ আগস্টের পর আপনারা নিস্ক্রিয় হয়ে ছিলেন তারাও আজকে দলের জন্য রাজপথে নেমে এনেছেন। আপনাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন আগামী ফেব্রয়ারিতে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে খালি চোখে সে নির্বাচন সাদা মনে হলেও এই নির্বাচনে অনেক হিসাব নিকাশ রয়েছে। তাই আমাদেরকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে।
আগামী নির্বাচনে ১৫ শতাংশ ভোট জেনারেশন-জেড এর যাদের আমরা জেনজি বলে থাকি। গত ১৭ বছর তারা কোন ভোট দিতে পারেনি। কারণ দেশে ভোটের নামে নাটক হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের ভোট আদায় করতে হবে। আমরাও যদি পতিত আওয়ামী লীগে মত কাজ করি তাহলে জনগণ যেমন তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে তেমনি আমাদেরকেও ছুড়ে ফেলে দিতে সময় নিবে না। তাই আসুন আমরা নিজেরা কোন ভাইয়ের লোক বা কোন গ্রæপের লোক না হয়ে দলের জন্য কাজ করি প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফার বার্তা পৌছে দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করি।