বান্দরবান প্রতিনিধি: সুকেল তঞ্চঙ্গ্যা
বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদর উপজেলাস্থ ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আমতলী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া বৌদ্ধ বিহারে ৩২তম শুভ কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ: ১৩ অক্টোবর (সোমবার) সুয়ালক আমতলী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে এ পূণ্যময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ১২ অক্টোবর (রবিবার) সন্ধ্যা ৬:০০টা হতে আজ ১৩ অক্টোবর সকাল ৬:০০টা ১২ ঘন্ঠা ধরে পাড়া বাসী ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় পাঠ্ঠান সূত্র পাঠ করা হয়। পরে সকাল ৯:০০ টায় নবনির্মিত ১৮ ফুট উঁচু বুদ্ধ প্রতিবিম্ব অভিষেক অনুষ্ঠান ও আমতলী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ার নবনির্মিত বৌদ্ধ বিহার এর উৎসর্গ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পরে অতিথি আপ্যায়নে আমন্ত্রিত দায়ক-দায়িকাও ভিক্ষু দের দুপুরের ভোজন সমাপ্তি হয়। পরে বেলা ২:০০টা হতে শুরু হয় তদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথেরো, সাধারণ সম্পাদক: ত্রিরত্ন ভিক্ষু এসোসিয়েশন বাংলাদেশ ও সুযোগ্য বিহার অধ্যক্ষ ভালুকিয়া লুম্বিনী বৌদ্ধ বিহার রাঙামাটি এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চশীল গ্রহণ ও ধর্মীয় আলোচনা সভা।
এ সময় পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন সুয়ালক আমতলী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার বাবু বাদি কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
ধর্মীয় আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, তদন্ত বিনয় তিষ্য ভিক্ষু। প্রধান ধর্মালোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভদন্ত ডঃ জিনবোধী মহাথেরো, বিহার অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহার ও সাবেক চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্য ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ। আশির্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভদন্ত আগগাশ্রী মহাথেরো অধ্যক্ষ, পাগলাছড়া বৌদ্ধ বিহার ও সভাপতি ত্রিরত্ন ভিক্ষু এসোসিয়েশন বাংলাদেশ। মঙ্গলাচরণ পাঠ করেন, শ্রীমাণ প্রিয়ানন্দ শ্রামণ আমতলী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া বৌদ্ধ বিহার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদ এর সুযোগ্য চেয়ারম্যান উক্যনু মারম। উক্ত ধর্মীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন, লোকপ্রিয় মহাথেরো অধ্যক্ষ উত্তর পুরানগড় সংঘশ্রী বৌদ্ধ বিহার সাতকানিয়া চট্টগ্রাম।
এ সময় ধর্মীয় আলোচনা সভায় ভিক্ষু সংঘ রা বলেন, দেশ ও বিশ্বের শান্তি সম্প্রীতির রক্ষার্থে সবাইকে ধর্মীয় ঞ্জান ও শ্রদ্ধা চেতনায় সবাইকে একসঙ্গে অগ্রসর হতে হবে। আরো এ সময় বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ রা ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত দায়ক-দায়িকা ও উপাসক উপাসিকা দের নিকট আলোচনা করেন। আলোচ্য বিষয় সমুহের মধ্যে অন্যতম ছিল, শুভ কঠিন চীবরদান এর তাৎপর্য, বিহার দান এর সুফল, নিয়মিত পঞ্চশীল বা পাঁচটি ধর্মীয় নীতি পালনের সুফল, দান শীল ভাবনার সুফল, প্রতিটি মানব জীবনের ৪ ধরণের দুঃখ জন্ম ,জরা, ব্যাধি, ও মৃত্যু নিয়ে বিশ্লেষণ।