রানাপ্লাজা হত্যাকান্ডের দশম বছরে দায়িদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিয়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধ রানাপ্লাজা শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রানাপ্লাজা ভবন ধ্বসে আহত শ্রমিক, নিহতের স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে সহস্রাধীক শ্রমিক প্রাণ হারান। তিন শতাধিক নিখোজসহ আহত হন আরো দুই হাজার শ্রমিক।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানা প্লাজার সামনে প্রতিবাদ প্রতিরোধ রানাপ্লাজা শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো নিজেদের ব্যানারে মিছিল ও মানবন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করে।
এ সময় রানা প্লাজা ভবন ধ্বসের ঘটনায় রানাপ্লাজা হত্যাকান্ডের দশম বছরে দায়িদের সর্বোচ্চ শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথার্থ ক্ষতিপুরণ- পুণর্বাসন এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আই এল ও কনভেনশন ১২১, ১৫৫, ১৮৭ এবং ৮৭ ও ৯৮ এর আলোকে আইন সংশোধন এর দাবি জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
নিহত, নিখোজ ও ক্ষতিগ্রস্ত আহত শ্রমিকদের জন্য চার দফা তুলে ধরেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। দাবিগুলো হলো- শ্রমিকের এক জীবনের আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপূরণ, স্থায়ী পুনর্বাসন, বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা ও রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার দ্রুত বিচার।
এছাড়া আহত শ্রমিকরা তাদের জীবন-জীবিকার অসহায়ত্ব তুলে ধরে সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেন।
এদিকে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার দশ বছর পূর্ণ হলেও এখনও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিক নেতারা। তারা এই দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে দ্রুত দোষিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও এই দিবসটিকে গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।