মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পর এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু ওই দুইজনকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। আমাদের টিম তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১২টার পর পরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনৈতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিদায় নেওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং দোয়েল চত্বর হয়ে চলে যাবেন। অর্থাৎ একদিক দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যাবেন। এই দুই ভাগে শহীদ মিনারের নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পলাশী প্রান্তর থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। সঙ্গে ব্যাগ জাতীয় কোনো জিনিস নিয়ে আসবেন না, আমরা এগুলো নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেবো না।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরবর্তীসময়ে উন্মুক্ত পরিবেশে এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে আসবেন। রাজধানীর সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে আসবেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করছে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তিন ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, ২১ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে নিরাপত্তা বাহিনী।